চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নতুন এই রোগ স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করছে। রোগীদের কনভালশন(খিঁচুনি বা তড়কা) হচ্ছে। বহু রোগী অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। সঙ্গে জ্বর। আক্রান্ত রোগীদের শরীরে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়নি। জাপানি এনকেফেলাইটিস, ডেঙ্গু, রাবিসের মতো জীবাণুও রোগীদের শরীরে মেলেনি।
কেন তাদের এমন হচ্ছে, এখনো পর্যন্ত তা বোঝা যায়নি। অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী শহরে প্রায় ১৫০ জন রোগী আপাতত হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদেরও যে কোনো সময় হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে।
চিকিৎসকদের একাংশের ধারণা, ভাইরাস থেকে এই রোগের উৎপত্তি নয়। এর পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রিসার্চের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশে যাবেন এবং রোগীদের দেখবেন। অন্য দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি সোমবারই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। রাজ্যের বিরোধী নেতা চন্দ্রবাবু নায়েডু অন্ধ্র জুড়ে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ঘোষণার আবেদন জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, পানি থেকে এই রোগ হতে পারে। এখনো পর্যন্ত একটি এলাকা থেকে সব চেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে। সেখানকার পানিতে ধাতুর পরিমাণ বেশি বলে কি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন? এ প্রশ্ন উঠছে। যদিও এখনো পর্যন্ত সে বিষয়েও কোনো স্পষ্ট ধারণা মেলেনি।
গত ৫ ডিসেম্বর রাজ্যে প্রথম এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সব বয়সের ব্যক্তিরাই নতুন এই অজানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সকলেরই লক্ষণ এক। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডয়চে ভেলে।